ইরানে ইসরায়েলি নারী গুপ্তচর ক্যাথরিন পেরেজ শাকদামের ভয়াবহ অনুপ্রবেশ
ইরানি রাষ্ট্রের ভেতরে দীর্ঘ সময় ধরে চলছিল এক অবিশ্বাস্য নাটক—যার মূল চরিত্র একজন নারী গুপ্তচর, ক্যাথরিন পেরেজ শাকদাম।
ইসরায়েলি এই নারী, ফরাসি পাসপোর্ট ব্যবহার করে “মুসলিম নারী” সেজে ইরানে প্রবেশ করেন।
নিজেকে পরিচয় দেন, একজন ইয়েমেনি পুরুষের স্ত্রী এবং শিয়া আকিদা শিখতে আগ্রহী।
কিন্তু বাস্তবতা ছিল ভয়ংকর ভিন্ন!
তিনি ছিলেন মোসাদের একটি সুপরিকল্পিত অপারেশনের মুখ্য চর।
🔥 মুতআহ বিয়েই ছিল তার অস্ত্র!
“আমি ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনের আগ্রহ দেখিয়ে মোল্লাদের সাথে দেখা করতাম।
ঠিক সেই সময়ই অস্থায়ী বিয়ের প্রস্তাব দিতাম। অধিকাংশ মোল্লা সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন।
তারা-ই আমার প্রধান তথ্যসূত্র ছিল।” — ক্যাথরিন পেরেজ শাকদাম
তিনি প্রায় ১০০ জন উচ্চপদস্থ ইরানি কর্মকর্তাকে তার “মুতআহ বিয়ের ফাঁদে” ফেলে গোপন তথ্য বের করে আনেন।
এমনকি ঘনিষ্ঠতা তৈরি করেন সরাসরি আয়াতুল্লাহ খামেনি, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি এবং রেভল্যুশনারি গার্ড (IRGC) কর্মকর্তাদের সঙ্গেও।
🧨 তার কৃতকর্মের ভয়ানক ফিরিস্তি:
- 🔸 ১০ মাসেই ইরানের অভ্যন্তরে ভয়াবহ গুপ্তচরবৃত্তি
- 🔸 একজন এমপি সংসদের গোপন বৈঠকের তথ্য তাকে মুখে বলে দেন
- 🔸 অসংখ্য রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য “অন্তরঙ্গ মুহূর্তে” ফাঁস হয়ে যায়
- 🔸 তিনি সংবেদনশীল সামরিক এলাকা পরিদর্শন করেন “গবেষণার অজুহাতে”
- 🔸 তিনি প্রবেশ করেন নারী মহলে, উচ্চপদস্থ নেতাদের স্ত্রীদের আস্থা অর্জন করেন
- 🔸 সেই স্ত্রীরা অনিচ্ছায় বলে দেন স্বামীদের ভবিষ্যৎ গন্তব্য, সময়সূচি, নিরাপত্তা অবস্থা
- 🔸 সেই কথোপকথনগুলো রেকর্ড হয়ে চলে যেত তেল আবিবে
💣 কত ভয়াবহ ছিল এই অনুপ্রবেশ?
📌 মাত্র ১০ মাসেই ইরানের সর্বোচ্চ শ্রেণির কর্মকর্তাদের জীবন ঝুঁকিতে পড়ে।
📌 ইরান সরকারের অভ্যন্তরে একটি ছায়াযুদ্ধ শুরু হয়—যেখানে গুলির আওয়াজ নেই, কিন্তু মৃত্যু ঘটে স্ত্রীর জিভে।
📌 এই ঘটনার সময়ই হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া ইরান সফর করছিলেন।
পরবর্তীতে তাকে শহীদ করা হয়, এবং ধারণা করা হয়—তথ্য ফাঁসের সূত্র ছিল এই নারী।
এটি শুধু একটি গুপ্তচর কাহিনি নয়—এটি এক ভয়াবহ রাষ্ট্র-স্তরের নিরাপত্তা ধস।
🔎 বিশ্লেষণ: নিরাপত্তার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা কি?
এই ঘটনা তুলে ধরে যে,
🔸 ধর্মীয় আস্থার নামে কেউ যদি “নিজেকে আত্মস্থ” করতে পারে, তবে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাও ভেঙে পড়তে পারে।
🔸 নারীদের সামাজিক বলয়—যাকে আমরা নিরাপদ ভাবি—সেই বলয়ও হয়ে উঠতে পারে সাইলেন্ট আর্মরি।
🔸 তথ্য চুরি এখন আর হ্যাকিং দিয়ে নয়—বরং “আস্থা” দিয়েই হয়!
❗ এখন প্রশ্ন—
➡️ এই নারী যদি মাত্র ১০ মাসে ১০০ জন কর্মকর্তার কাছ থেকে তথ্য বের করে আনতে পারেন,
তবে ইরানের ভেতরের নিরাপত্তা কোথায়?
➡️ এবং আজ—আপনার দেশেও কি কোনো ক্যাথরিন লুকিয়ে আছে না?
🎯 উপসংহার:
এটা এক নতুন ধরণের যুদ্ধ—যেখানে সেনাবাহিনী নয়,
আলাপচারিতা, বন্ধুত্ব, এবং বিয়ের সম্পর্ক—এটাই অস্ত্র।
এখন যুদ্ধ হয় বিশ্বাস দিয়ে, হত্যা হয় তথ্য দিয়ে।
“একটি স্ত্রী, একটি কথা—একজন রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তার মৃত্যু”
— এটাই আজকের ছায়াযুদ্ধের বাস্তবতা।
📌 এই ঘটনার পেছনে থাকা নীরব বিস্ফোরণ আমাদের সকলকে সতর্ক করে দেয় —
বিশ্বাসযোগ্যতার মুখোশের নিচে লুকিয়ে থাকা অদৃশ্য যুদ্ধের ভয়াবহতা কতটা মারাত্মক হতে পারে।
#CatherinePerezShakdam
#IranEspionage
#MossadOperation
#MutahTrap
#SilentWar
#SecurityBreach
#MiddleEastPolitics
#