إِنَّ الْحَمْدَ لِلَّهِ نَحْمَدُهُ وَنَسْتَعِینُهُ وَنَسْتَغْفِرُ هُ، وَأَشْهَدُ أَنْ لا إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ
. ◌ِ وَحْدَهُ لا شَرِیكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ
أَمَّا بَعْدُ،
. ◌ِ وَحْدَهُ لا شَرِیكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ
أَمَّا بَعْدُ،
আল্লাহ্ তায়ালার দরবারে লাখো কোটি শোকর যে, তিনি
আমাদেরকে তার একমাত্র মনোনীত দ্বীন ইসলামের উপর কবুল করেছেন। ভাই এটা আল্লাহ
তায়ালার বহুত বড় এক নেয়ামত যা আমরা না চাইতেই পেয়েছি, ঈমান নামক বিশাল এক দৌলত যা
রব্বে কারীম আমাদের মতন নাদানদেরকে দান করেছেন। লাখো কোটি দুরুদ ও সালাম সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ নবী
হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রতি; যেই নবীর উম্মত আল্লাহ আমাদেরকে করেছেন তাই বাস্তবতার দাবী হলো
সর্বশ্রেষ্ঠ নবীর উম্মতেরা সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মতই হবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন
كُنْتُمْ خَيْرَ
أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ
عَنِ الْمُنْكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ ۗ وَلَوْ آمَنَ أَهْلُ
الْكِتَابِ لَكَانَ خَيْرًا لَهُمْ ۚ مِنْهُمُ الْمُؤْمِنُونَ
وَأَكْثَرُهُمُ الْفَاسِقُونَ
" তোমরা সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি। মানুষের মঙ্গলের
জন্যই তোমাদেরকে বের করা হয়েছে। তোমাদের শ্রেষ্ঠত্বের কারন এই যে, তোমরা সৎকাজের আদেশ
করে থাক ও অসৎ কাজে বাধা প্রদান করে থাক এবং আল্লাহর উপর ঈমান আনিয়া থাক। (আল কোরআন
৩ঃ১১০ ) উল্লেখিত আয়াতে মুসলমানদেরকে শ্রেষ্ঠ উম্মত বলে ঘোষনা করা হয়েছে। শ্রেষ্ঠত্বের
দাবী হল যিনি যতটা শ্রেষ্ঠ তার দায়িত্ব তত গুরুত্বপূর্ন এবং আয়াতের শেষাংশে গুরুদায়িত্বটিও বর্ননা করা হয়েছে।
তা এই যে আমরে বিল মা'রুফ, নেহি অনিল মোনকার অর্থাৎ সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ। এবং শ্রেষ্ঠ জাতীর দায়িত্বের শ্রেষ্ঠত্ব বর্ননা
করতে গিয়ে আল্লাহ্ পাক বলেন
وَمَنْ أَحْسَنُ قَوْلًا مِمَّنْ دَعَا إِلَى اللَّهِ وَعَمِلَ صَالِحًا وَقَالَ إِنَّنِي مِنَ الْمُسْلِمِينَ
"ঐ ব্যক্তির কথার চেয়ে ভাল কথা আর কাহার হইতে পারে, যে মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকে এবং নেক আমল করে এবং বলে যে, নিশ্চয় আমি মুসলমানদের মধ্যে হইতে একজন" ।-( আল কোরআন 41:33 ) তবলীগ জামায়াত হচ্ছে এমন একটি জামায়াত যা এই দাওয়াতের মহান খেদমতের আঞ্জাম দিচ্ছে। অনেকে তবলীগ জামায়াতকে আলাদা কোনো দল মনে করে ভুল করে থাকেন আসলে তবলিগ জামায়াত হল দ্বীনের দাওয়তের একটি পদ্ধতি। সেই পদ্ধতি যেই পদ্ধতিতে সাহাবায়ে কেরাম রেদোয়ানুল্লহি তায়ালা আলাইহিম আজমাঈন, তাবেয়ীন, তাবে তাবেয়ীন গন তথা সোনালী তিন যুগ থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে অথবা জামায়াতবদ্ধভাবে দ্বীনের দায়ীগন দাওয়াত দিয়ে আসতেছিলেন। মাওলানা ইলিয়াস সাহেব (রহঃ) কুরআন এবং সুন্নাহের আলোকে এই দাওয়াতের কাজকে সঙ্গঠিত করার মেহনত করেছেন। এই মেহনত যে, আল্লাহর দরবারে কবুল মেহনত সমুহের একটি তা আজকে দাওয়াতের ব্যাপকতা, আল্লাহ্ তায়ালার খায়ের ও বরকত দেখে সহজেই অনুমান করা যায়। এই জামায়াতের কর্মধারা, সাফল্য, উপকারীতা জামাতের সাথে বের না হয়ে/সময় না দিয়ে কখোনোই বুঝা বা উপলব্ধি করা সম্ভব নয়।আল্লাহ্ আমাদের সকলকে দ্বীনের দাওয়াতের সাথে আমৃত্যু লেগে থাকার তাওফিক দান করুন। এখানে তবলীগ এর ফাযায়েল সম্পর্কে বর্ণনা করা হইতেছে, আমি প্রত্যেকটি টপিকস এবং তার সাথে ১/২ লাইন রেখে বাকীটা মিনিমাইজ করে দিয়েছি লেখার কলেবর বৃদ্ধির আশংকায় তাই পাঠক দের অনুরোধ করবো প্রতিটি লিঙ্ক এর সাথে দেওয়া reed more>> অপশনে অথবা হেডিং অপশনে ক্লিক করে পুরো পোষ্ট গুলি পড়ার জন্যে।
"ঐ ব্যক্তির কথার চেয়ে ভাল কথা আর কাহার হইতে পারে, যে মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকে এবং নেক আমল করে এবং বলে যে, নিশ্চয় আমি মুসলমানদের মধ্যে হইতে একজন" ।-( আল কোরআন 41:33 ) তবলীগ জামায়াত হচ্ছে এমন একটি জামায়াত যা এই দাওয়াতের মহান খেদমতের আঞ্জাম দিচ্ছে। অনেকে তবলীগ জামায়াতকে আলাদা কোনো দল মনে করে ভুল করে থাকেন আসলে তবলিগ জামায়াত হল দ্বীনের দাওয়তের একটি পদ্ধতি। সেই পদ্ধতি যেই পদ্ধতিতে সাহাবায়ে কেরাম রেদোয়ানুল্লহি তায়ালা আলাইহিম আজমাঈন, তাবেয়ীন, তাবে তাবেয়ীন গন তথা সোনালী তিন যুগ থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে অথবা জামায়াতবদ্ধভাবে দ্বীনের দায়ীগন দাওয়াত দিয়ে আসতেছিলেন। মাওলানা ইলিয়াস সাহেব (রহঃ) কুরআন এবং সুন্নাহের আলোকে এই দাওয়াতের কাজকে সঙ্গঠিত করার মেহনত করেছেন। এই মেহনত যে, আল্লাহর দরবারে কবুল মেহনত সমুহের একটি তা আজকে দাওয়াতের ব্যাপকতা, আল্লাহ্ তায়ালার খায়ের ও বরকত দেখে সহজেই অনুমান করা যায়। এই জামায়াতের কর্মধারা, সাফল্য, উপকারীতা জামাতের সাথে বের না হয়ে/সময় না দিয়ে কখোনোই বুঝা বা উপলব্ধি করা সম্ভব নয়।আল্লাহ্ আমাদের সকলকে দ্বীনের দাওয়াতের সাথে আমৃত্যু লেগে থাকার তাওফিক দান করুন। এখানে তবলীগ এর ফাযায়েল সম্পর্কে বর্ণনা করা হইতেছে, আমি প্রত্যেকটি টপিকস এবং তার সাথে ১/২ লাইন রেখে বাকীটা মিনিমাইজ করে দিয়েছি লেখার কলেবর বৃদ্ধির আশংকায় তাই পাঠক দের অনুরোধ করবো প্রতিটি লিঙ্ক এর সাথে দেওয়া reed more>> অপশনে অথবা হেডিং অপশনে ক্লিক করে পুরো পোষ্ট গুলি পড়ার জন্যে।
Monday, November 14, 2016
আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার নিকট শ্রেষ্ঠতর কথা কি?
وَمَنْ أَحْسَنُ قَوْلًا مِمَّنْ دَعَا إِلَى اللَّهِ وَعَمِلَ صَالِحًا
وَقَالَ إِنَّنِي مِنَ الْمُسْلِمِينَ
"ঐ ব্যক্তির কথার চেয়ে ভাল কথা আর কাহার হইতে পারে, যে মানুষকে আল্লাহর
পথে ডাকে এবং নেক আমল করে এবং বলে যে, নিশ্চয় আমি মুসলমানদের মধ্যে হইতে
একজন"
।-( আল কোরআন 41:33 )
মোফাচ্ছেরগন লিখেছেন, যে কোন ব্যক্তি যে কোন তরিকায় মানুষকে আল্লাহর দিকে
আহ্বান করেন তিনিই প্রশংসার যোগ্য হবেন। যেমন নবীগন মো'জেজা দ্বারা,
ওলামাগন দলিল প্রমানের দ্বারা মোজাহেদগন তরবারী দ্বারা ও মোয়াজ্জেনগন
আজানের দ্বারা, এভাবে যে কেউ যে কোন পদ্ধতিতে মানব সমাজকে সত্কাজের দিকে
ডাকে, সেটা বাহ্যিক আমলের দিকে হোক বা বাতেনি আমলের দিকে আহ্বান করুক, যেমন
শরিয়তের পীর সাহেবান ও সুফিয়ায়ে কেরাম ডেকে থাকেন , সেই উক্ত সুসংবাদের
যোগ্য।
" আমি মুসলমানদের মধ্যে একজন",
এর দুইটি অর্থ হতে পারে। প্রথম:...
রিজিক আল্লাহর জিম্মায়
وَأْمُرْ أَهْلَكَ بِالصَّلَاةِ وَاصْطَبِرْ عَلَيْهَا ۖ لَا نَسْأَلُكَ رِزْقًا ۖ نَحْنُ نَرْزُقُكَ ۗ وَالْعَاقِبَةُ لِلتَّقْوَىٰ
And exhort your
people to pray, and patiently adhere to it. We ask of you no sustenance,
but it is We who sustain you. The good ending is that for
righteousness.
" হে আমার
প্রিয় নবী!
আপনার পরিবারের
সবাইকে নামাজের
আদেশ করুন
এবং নিজেও
এর উপর
মজবুত থাকুন। আমি
আপনার নিকট
রিজিক চাই
না, বরং
রিজিক তো
আমিই আপনাকে
দান করব
এবং শুভ
পরিনাম একমাত্র
পরহেজগারীর জন্যই।" (
আল কোরআন ২০ঃ১৩২
)
নছিহত মোমেনের উপকারে আসে
وَذَكِّرْ فَإِنَّ الذِّكْرَىٰ تَنْفَعُ الْمُؤْمِنِينَ
And remind, for the reminder benefits the believers
" হে মোহাম্মদ (স:)
আপনি মানুষকে
নছিহত করতে
থাকুন, কেননা
নছিহত করলে
নিশ্চয় মোমেনদের
উপকার হবে" মুফাসসিরীনে কেরামের মতে এই আয়াতের দ্বারা এটা প্রমাণিত
হয় যে,
কোরআন শরীফের
আয়াত শুনিয়ে
দ্বীনের দাওয়াত
দিতে হবে।প্রকৃত সফলকাম কারা?
وَلْتَكُنْ
مِنْكُمْ أُمَّةٌ يَدْعُونَ إِلَى الْخَيْرِ وَيَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ
وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ ۚ وَأُولَٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ
And let there be
among you a community calling to virtue, and advocating righteousness,
and deterring from evil. These are the successful.
" এবং তোমাদের
মধ্যে এমন
একটি জামাত এমন হওয়া জরুরী;
যারা মঙ্গলের
দিকে আহ্বান
করবে।অর্থাৎ সত্কাজের
আদেশ করবে
ও অসৎ
কাজের নিষেধ
করবে এবং
তারাই প্রকৃত
সফলকাম জামাত।" ( আল কোরআন ৩ঃ১০৪ ) আল্লাহপাক এই
আয়াতে এই
আয়াতে একটি অতীব
গুরুত্বপূর্ন বিষয়ের নির্দেশ করেছেন।
তা এই
যে , উম্মতের
মধ্যে একটি
বিশেষ জামাত
থাকতে হবে। যারা
লোকদেরকে ইসলামের
দিকে দাওয়াত
দিবে এবং
দ্বীনের তবলিগ
করবে।
হজরত লোকমানে(আঃ) এর নছিহত
ا بُنَيَّ
أَقِمِ الصَّلَاةَ وَأْمُرْ بِالْمَعْرُوفِ وَانْهَ عَنِ الْمُنْكَرِ
وَاصْبِرْ عَلَىٰ مَا أَصَابَكَ ۖ إِنَّ ذَٰلِكَ مِنْ عَزْمِ الْأُمُورِ
"হে বৎস!
নামাজ পড়তে
থাক।
সত্কাজের আদেশ
কর।
অসৎকাজে বাধা
দাও এবং
তোমার উপর
যে বিপদ
আসবে তাতে
ধৈর্যধারন কর।নিশ্চয় তা
বড় সৎ
সাহসের কাজ।" ( আল কোরআন ৩১ঃ১৭ )
O my son,
observe the prayer, advocate righteousness, forbid evil, and be patient
over what has befallen you. These are of the most honorable traits.
আমরাই "সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি( The Best Community)!!' কিন্তু কেন?
نْتُمْ خَيْرَ
أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ
عَنِ الْمُنْكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ ۗ وَلَوْ آمَنَ أَهْلُ
الْكِتَابِ لَكَانَ خَيْرًا لَهُمْ ۚ مِنْهُمُ الْمُؤْمِنُونَ
وَأَكْثَرُهُمُ الْفَاسِقُونَ
" তোমরা সর্বশ্রেষ্ঠ
জাতি।
মানুষের মঙ্গলের
জন্যই তোমাদেরকে
বের করা
হয়েছে।
তোমাদের শ্রেষ্ঠত্বের
কারন এই
যে, তোমরা
সৎকাজের আদেশ
করে থাক
ও অসৎ
কাজে বাধা
প্রদান করে
থাক এবং
আল্লাহর উপর
ঈমান আনিয়া
থাক।
(আল কোরআন ৩ঃ১১০
) মুসলমান যে সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি এবং
সেরা উম্মত
বহু হাদিসের
দ্বারা সেটা
প্রমাণিত হয়েছে,
কোরআনে পাকেও
বিভিন্ন আয়াতে
তা উল্লেখ
আছে।
You are the best
community that ever emerged for humanity: you advocate what is moral,
and forbid what is immoral, and believe in Allah. Had the People of the
Scripture believed, it would have been better for them. Among them are
the believers, but most of them are sinners.
Categories : ফাযায়েলে তাবলীগ
2:07:00 AM
samudracari
No comments
অন্যায় কাজ দেখলে কি করা উচিত ?
নবীয়ে কারীম (স:)
বলেন, "যে
ব্যক্তি কোন
অন্যায় কাজ
হতে দেখে
তবে শক্তি
থাকলে হাতের
দ্বারা তা
বন্ধ করে
দিবে।
আর এতটুকু
শক্তি যদি
না থাকে
তবে মুখের
দ্বারা বন্ধ
করবে।
আর সেটাও
সম্ভব না
হলে অন্তরে
উক্ত কাজকে
ঘৃনা করবে। (অথবা
তা বন্ধ
হওয়ার জন্য
অন্তর দিয়ে দোয়া করবে)
এবং এটা
ঈমানের সর্বনিম্ন
স্তর"।
অন্য হাদিসে
আছে, "যদি
সে অন্তরে
এটাকে ঘৃনা
করল তবুও
দায়িত্ব থেকে
মুক্তি পেল"। অন্য
হাদিসে বলা
হয়েছে, "যে
ব্যক্তি অন্তরে
তা ঘৃনা
করল সে
ঈমানদার বটে,
কিন্তু তার
চেয়ে নিম্নস্তরের
কোন ঈমান
নাই"।
-( মোসলেম, তিরমিযি )
প্রাপ্তি স্বীকারঃ এই পেইজের কন্টেন্ট গুলি শাইখুল হাদীস আল্লামা যাকারিয়া সাহেব কান্দালভী (রহঃ) রচিত 'ফাযায়েলে আমল' নামক কিতাবের ফাযায়েলে তবলীগ অংশ থেকে সরাসরি নেওয়া হয়েছে। ক্বুরআনুল কারীমের এবারত এবং ইংরেজী অনুবাদের জন্য http://www.quranwow.com এর সহযোগীতা গ্রহন করেছি, এছাড়া অনলাইনে অনেকের সহযোগীতা গ্রহন করেছি সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আল্লাহ যেন সকলকে যাঝায়ে খাইর (উত্তম বিনিময়) দান করেন। আমিন
0 comments:
Post a Comment