Monday, November 14, 2016

তালীমের আদব ও ফযীলত



السلام عليكم
আসসালামুআলাইকুম।
আসলে তবলিগ জামায়াত হল দ্বীনের দাওয়তের একটি পদ্ধতি। সেই পদ্ধতি যেই পদ্ধতিতে সাহাবায়ে কেরাম রেদোয়ানুল্লহি তায়ালা আলাইহিম আজমাঈন, তাবেয়ীন, তাবে তাবেয়ীন গন তথা সোনালী তিন যুগ থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে অথবা জামায়াতবদ্ধভাবে দ্বীনের দায়ীগন দাওয়াত দিয়ে আসতেছিলেন। মাওলানা ইলিয়াস সাহেব (রহঃ) কুরআন এবং সুন্নাহের আলোকে এই দাওয়াতের কাজকে সঙ্গঠিত করার মেহনত করেছেন। এই মেহনত যে, আল্লাহর দরবারে কবুল মেহনত সমুহের একটি তা আজকে দাওয়াতের ব্যাপকতা, আল্লাহ্‌ তায়ালার খায়ের ও বরকত দেখে সহজেই অনুমান করা যায়। এই জামায়াতের কর্মধারা, সাফল্য, উপকারীতা জামাতের সাথে বের না হয়ে/সময় না দিয়ে কখোনোই বুঝা বা উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। আমরা যারা নতুন তাবলিগে সময় দিয়েছি। অনেকেই দাওয়াতের কর্মপদ্ধতি এবং ফাযায়েল সম্পর্কে পুরোপুরি ওয়াকবিহাল নই। যা আমাদের জানা খুবই জরুরী। এই গুরুত্ব অনুধাবন করে , তালীমের বিষয়ে এই লেখাটি আপনার উপকৃত হলে  এবং এর ব্যপক প্রচার হলে সবাই উপকৃত হবে। মোদ্দাকথা আল্লা ভোলা মানুষগুলো আল্লাহর নাখে জোড়ানো বা আল্লাহর পরিচয় চিনতে পারলেই ,  এটাই স্বার্থকতা

তালীমঃ অন্তর হতে জেহেলিয়াত, অজ্ঞতা মুর্খতা দূর করে , দ্বীনী এলেমের তলব পয়দা করার মাধ্যমে আল্লাহ্‌ তায়ালার ছকিনা এবং ওহীর বরকত লাভ করার আমলের নামই তালিম।

তালীম প্রকারঃ  

) কোরানের তালিম,) কিতাবী তালিম,) ছয় নম্বরের মোজাকার

 তালিমের টি জিনিষঃ
) উদ্দেশ্য, ) তালিমের লাভ, ) আদব

    ) তালিমের উদ্দেশ্যঃ আল্লাহতালার ওয়াদা একিন দিলে পয়দা করা দিলে জ্ঞান এলেমের তলব পয়দা করা

    ) তালিমের লাভঃ ) মুর্খতা, অজ্ঞতা , জেহালিয়াত দুর হয়   ) আমলের শক পয়দা হয়, ) আমলের সাথে এলেমের সর্ম্পক নাজিল হয়, ) খারাপ আমলের প্রতি ঘৃনা হয়, ) ছকিনা অবতীর্ন হয়, ) ওহীর বরকত পাওয়া যায়, ) ফেরেশতারা উক্ত স্থান বেষ্টন করিয়া থাকে, ) আল্লাহ পাক ফেরেশতাদের মজলিশে আলোচনা করেন

গ)তালিমের আদব দুইটিঃ বসার আদব এবং শুনার আদব,

বসার আদবঃ তালীমে বসার আদব ৭ টি

) জরুরত থেকে ফারেক হয়ে রসা,২) ওযু করে বসা,৩) সম্ভব হলে দুই রাকাত নামাজ পড়ে বসা
,৪) খুসবু লাগায়ে বসা,৫) সুন্নত তরিকায় বসা,৬)গায়ে গায়ে লাগে বসা,৭)অল্প জরুরতকে দাবায়ে বসা

শুনার আদবঃ তালীম শুনার আদব ৯ টি

) আমলের নিয়্যাতে শুনা, অন্যের নিকট পৌছানোর নিয়্যাতে শুনা,) মুতাকাল্লিমের মুখের দিকে তাকিয়ে শুনা,)আল্লাহ্ তাআলার নাম শুনিলে আল্লাহ জাল্লাহ্ শানহু বলা,)আমাদের নবীর নাম শুনিলে দরুদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  বলা,)অন্য নবীর নাম শুনিলে আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলা,)একজন সাহাবীর নাম শুনিলে রাযিআল্লাহু আনহু এবং একের অধিক হলে রাযিআল্লাহু আনহুম বলা,৭)একজন মহিলাসাহাবীর নাম শুনিলে রাযিআল্লাহু আনহা এবং একের অধিক হলে রাযিআল্লাহু আনহুমা বলা,) কোন বুজর্গের নাম শুনিলে রহঃ বলা, )জীবিত বুজুর্গের নাম শুনিরে যামাত বরকাতুহু বলা 


সারা বছরে মোট টি কিতাবের তালীম করা হয়ঃ
  ফাজায়েলে কুরআন, ফাজায়েলে নামাজ, ফাজায়েলে তাবলীগ, ফাজায়েলে জিকির, ফাজায়েলে রমজান, হেকায়েতে সাহাবা, পুস্তিকা ওয়াহেদ এলাজ, ফাজায়েলে সাদাকাত, ফাজায়েলে হজ্জ্ব

0 comments:

Post a Comment