Monday, November 14, 2016

মাসোয়ারার আদব ও ফযীলত


মাসোয়ারাঃ মাসোয়ারা আরবী শব্দ ইহার অর্থ পরামর্শ। ইহা আল্লাহর হুকুম,নবীর সূন্নত,মুমিনের ছিফত। সমস্ত আলমের তাকাজাকে সামনে রেখে সকল সাথীদের খেয়াল নিয়ে একটি সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার চেষ্টা করা।

 মাকছুদ বা উদ্দেশ্যঃ 
তিনটি জিনিষকে সামনে রেখে মাসোয়ারা করাঃ 
১। প্রত্যেক সাথী কি করে ঈমানওয়ালা, আমলওয়ালা এবং এখলাছওয়ালা দীনের দায়ী বনতে পারে, 
২। এলাকার সাথীরা কিভাবে মসজিদওয়ার পাঁচকামের ভিত্তিতে ঈমানওয়ালা, আমলওয়ালা এবং এখলাছওয়ালা দীনের দায়ী বনতে পারে,, 
৩। আমরা যেমন নগদ আল্লাহর রাস্তায় বের হয়ে আসছি ঠিক সেইভাবে এলাকার প্রত্যেক ঘর থেকে একজন করে বালেগ পুরুষ নগদ আল্লাহর রাস্তায় বের হতে পারে সেই রকম মেহনত করা। 

ফাজায়েল বা ফায়েদা বা লাভঃ
১। জিন্দায়ে সূন্নত ০২। খায়েরে বরকত,৩। জোর মিল মহব্বত ৪। ক্ষতি থেকে হেফাজত ৫। হতে হয়না বেইজ্জত। 

মাসোয়ারার আদবঃ 
১। পুরো উম্মতের দ্বীনের তাকাজাকে সামনে রেখে খেয়াল পেশ করা। 
২। একজন করে সাথী ডান দিক দিয়ে খেয়াল দেওয়া, 
৩। পুরোনো সাথীদের মাশওয়ারায় শামিল দিয়ে খেয়াল নেওয়া, 
৪। প্রত্যেক সাথী নিজ নিজ খেয়াল দেওয়া অন্যের খেয়ালের উপর যথেষ্ট মনে না করা, 
৫।নিজের খেয়ালকে খুব চিন্তা ফিকির করে সামনে উপস্থাপন করা, 
৬। নিজের খেয়ালকে মানাবার জন্য পিড়াপিড়ি না করা, 
৭। নিজের খেয়ালের ফয়সালা হলে আস্তাগফিরুল্লাহ পড়া, না হলে আলহামদুলিল্লাহ পড়া, 
৮। আমীর সাহের ফয়সালা দিলে তা মেনে নেওয়া, 
৯। মাসোয়ারার পরে কোন খারাবী প্রকাশ পেলে তা কোন সাথীকে দোষারূপ না করা। 
১০। মাসোয়ারার আগে মাসোয়ারা না করা, কেননা তা ষড়যন্ত্র এবং মাসোয়ারার পরে মাসোয়ারা না করা, কেননা তা বিদ্রোহ।




3 comments:

Unknown said...

এটা কি ফরজ?

Unknown said...

হ্যাঁ

Unknown said...

হ্যাঁ ঠিকই ফরজ

Post a Comment