skip to main |
skip to sidebar
নবীয়ে কারীম (স:) বলেন, "যদি কোন ব্যক্তি পাপ কাজে লিপ্ত হয় এবং কওমের লোকেরা শক্তি থাকা সত্বেও তাকে বাধা প্রদান করে না, তবে মৃত্যুর পূর্বে দুনিয়াতেই তাদের উপর আল্লাহর আজাব অবতীর্ণ হবে।"
-( আবু দাউদ, ইবনেমাজা) হে ইসলাম ও মুসলমানের উন্নতিকামী বন্ধুরা! এটাই হল মুসলমানের ধ্বংসের একমাত্র কারন। প্রত্যেক ব্যক্তি অন্যের কথা বা নিজের সমকক্ষ ব্যক্তির কথা বাদ দিয়ে আপন পরিবার পরিজন, স্ত্রী পুত্র ও অধীনস্ত লোকদের প্রতি একটু লক্ষ্য করে দেখুন, তারা কিরূপ প্রকাশ্য পাপ কাজে লিপ্ত রয়েছে এবং আপনারা নিজেদের প্রভাব প্রতিপত্তি দিয়ে তাদেরকে কতটুকু বাধা প্রদান করেছেন। বাধা তো দুরের কথা ,বাধা দেয়ার ইচ্ছাটুকু কি করেছেন? আপনি কি একটু চিন্তা করেছেন যে ,আপনার ছেলে কি গর্হিত কাজই না করছে? অথচ এই ছেলেটিই যদি সরকারের বিরুদ্ধে কোন কাজ করে বা সরকার বিরোধী কোন সভা সমিতিতে যোগদান করে তবে বিপদের আশঙ্কায় আপনার পেরেশানির শেষ থাকবে না। তারপর ছেলেকে সতর্ক করা ছাড়াও নিজেকে নির্দোষ প্রমাণিত করবার জন্য কতপ্রকার তদ্বির করে থাকেন।কিন্তু আফছোছ! আহকামুল হাকিমিন আল্লাহ পাকের নাফরমানের সাথে কি এরূপ ব্যবহার করে থাকেন? আপনি নিশ্চয় জানেন যে, আপনার প্রিয় ছেলে জুয়া তাস খেলায় বড় অভ্যস্ত! নামাজের প্রতি তার কোন ভ্রুক্ষেপ নাই। কিন্তু আফছোছ, আপনি ভুলবশত কোনদিন ছেলেকে সতর্ক করেন নি। অথচ হুকুম ছিল আপনি যেন তার সাথে সম্পুর্ন সম্পর্কচ্ছেদ করেন। আরও অনেক লোক দেখা যায় যারা ছেলের উপর এইজন্য নারাজ যে, ঘরে বসে থাকে, চাকরির চেস্টা করে না বা ব্যবসা বানিজ্যে অমনযোগী, কিন্তু ছেলে জামাতের পাবন্দী করে না। নামাজ ক্বাজা করে ফেলে ইত্যাদি ধর্মীয় অবহেলায় ছেলের প্রতি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে এরকম অভিভাবক কয়জন আছে? ধর্মের প্রতি এরূপ উদাসীনতা সুধুমাত্র পরকালের শাস্তির কারন তা নয়, বরং এ দ্বারা আমাদের দুনিয়ার ধ্বংসও অনিবার্য।
0 comments:
Post a Comment