আম্মাজান হজরত আয়শা সিদ্দিকা
(রা:) বলেন,
একদিন হুজুর
পাক (সা:)
আমার ঘরে
আসলেন, আমি
হুজুর (স:)
এর চেহারা
মোবারকের দিকে
লক্ষ্য করে
অনুভব করলাম
,নিশ্চয় কিছু
একটা ঘটেছে। হুজুর
(স:) কারো
সাথে কোন
কথা না
বলে অজু
করে মসজিদে
চলে গেলেন। আমি
হুজুর (স:)
এর কথা
শুনবার জন্য
ঘরের দেওয়ালে
কান লাগিয়ে
দাড়িয়ে গেলাম।হুজুর
(স:) মিম্বরে
উঠে প্রথমে
আল্লাহ তায়ালার
প্রশংসা করলেন
ও পরে
বললেন- হে
লোক সকল!
আল্লাহ পাক
বলেন, তোমরা
সত্কাজের আদেশ
কর এবং
অসত্কাজের নিষেধ করতে থাক।
হয়ত এমন
সময় এসে
পরবে, তোমরা
দোয়া করবে
আমি তা
কবুল করব
না, তোমরা
ছওয়াল করবে
আমি তা
পুরন করব
না, আর
তোমরা শত্রুর
বিরুধ্যে আমার
কাছে সাহায্য
চাইবে কিন্তু
আমি সাহায্য
করব না। হুজুর
(স:) এপর্যন্ত
বলে মিম্বর
থেকে নেমে
আসলেন।"-
(ইবনে মাজা)
যে সকল
লোক দুশমনের
মোকাবেলায় দ্বীনের কাজে শিথিলতার উপর
জোর দিয়ে
থাকেন, তারা
যেন উক্ত
হাদিসের প্রতি
একটু লক্ষ্য
করেন।
কারন মুসলমানদের
সাহায্য ও
মদদ একমাত্র
দ্বীনের মজবুতির
উপরই নির্ভর
করে।
বিশিষ্ট সাহাবী
হজরত আবু
দারদা (রা:)
বলেন, তোমরা
সত্কাজে আদেশ
ও অসত্কাজে
নিষেধ করতে
থাক।
নাহলে আল্লাহ
পাক তোমাদের
উপর যেকোন
অত্যাচারী শাসক নিযুক্ত করে দিবেন। ঐ
সময় তোমাদের
বুজুর্গগন দোয়া করবেন, কিন্তু দোয়া
কবুল হবে
না।
আর তোমরা
ক্ষমা চাইবে
কিন্তু ক্ষমা
করা হবে
না।
আল্লাহ পাক
অন্য আয়াতে
বলেন, হে
বিশ্বাসী বান্দাগন
তোমরা যদি
আল্লাহর দ্বীনের
সাহায্য কর
তবে আল্লাহ
পাকও তোমাদেরকে
সাহায্য করবেন
এবং শত্রুর
মোকাবেলায় তোমাদেরকে নিরাপদ রাখবেন।
অন্য আয়াতে
বর্ণিত আছে,
আল্লাহপাক যদি তোমাদেরকে সাহায্য করেন
তবে কেউই
তোমাদের উপর
বিজয়ী হতে
পারবেনা।
আর যদি
তিনি সাহায্য
না করেন
তবে আর
কে তোমাদেরকে
সাহায্য করতে
পারে? মোমেনদের
একমাত্র আল্লাহর
উপরই ভরসা
করা উচিত। তাফসীরে
দোররে মাসনুনে
বর্ণিত আছে,
হুজুর পাক
(স:) কছম
খেয়ে বলছেন,
তোমরা সত্কাজের
আদেশ কর
ও অসৎকাজের
নিষেধ করতে
থাক নয়ত
আল্লাহপাক তোমাদের উপর আজাব পাঠিয়ে
দিবেন।
অত:পর
তোমরা প্রার্থনা
করলেও তা
অগ্রাহ্য হয়ে
যাবে।
0 comments:
Post a Comment